রিঅ্যাক্ট দি অপরচুনিটি​ ফর দি ফিউচার

রিঅ্যাক্ট হচ্ছে মোস্ট পপুলার ফ্রন্টেন্ড জাভাস্ক্রিপ্ট লাইব্রেরী যা দিয়ে খুব সহজেই  ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন এর  ইউজার ইন্টারফেস তৈরি করা যায় । সরাসরি এইচটিএমএল, সিএসএস এবং ভ্যানিলা জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যবহার না করে আপনি রিঅ্যাক্ট ব্যবহার করে খুব সহজেই  এবং অল্প সময়ে অনেক কমপ্লেক্স অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করে ফেলতে পারবেন ।

রিঅ্যাক্ট কম্পোনেন্ট বেজড আর্কিটেকচার হওয়ায় এবং রিইউজেবল কম্পোনেন্টস  দিয়ে গঠিত হওয়ার একটি রিয়্যাক্ট এপ্লিকেশন বানানোর সময় পুরো ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন  নিয়ে একসাথে জটিল করে চিন্তা করার প্রয়োজন পড়ে না  । আলাদা আলাদাভাবে ছোট ছোট কম্পোনেন্ট বিল্ড করে সেগুলো প্রয়োজনমত জোড়া লাগিয়ে পূর্ণাঙ্গ ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন বানিয়ে ফেলা যায় ।
অনেক বড় বড় কোম্পানি  রিয়্যাক্ট কে তাদের প্রডাকশনে ব্যবহার করছে । তার মধ্য Facebook, Instagram,  Netflix, whatsapp Yahoo, Pinterest, Reddit, Dropbox, New York times এর মত বড় বড় কোম্পানিগুলো  অন্যতম ।

রিঅ্যাক্ট  দিয়ে আপনি খুব সহজেই স্কেলেবল ওয়েব ও মোবাইল উভয় ধরনের এপ্লিকেশনই ডেভেলপ করতে পারবেন , সাথে আছে সুবিশাল ডেভেলপার কমিউনিটি এবং ইন্ডাস্ট্রিতে গ্রহণযোগ্যতা ।
রিঅ্যাক্টের এত এত পপুলারিটির জন্য এখন ফ্রন্ট এন্ড ওয়েব ডেভেলপারদের জন্য অনেকটা ম্যান্ডেটরি একটা ব্যাপার  হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং মার্কেটে রিয়্যাক্টের  প্রচুর  জব এভেইলেবল । আপনি একজন ভালো রিয়্যাক্ট ডেভেলপার হতে পারলে আপনাকে বসে থাকতে হবে না , পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না  ।

অনলাইনে রিয়্যাক্টে শেখার প্রচুর রিসোর্স এভেলেবেল ।  কিন্তু সবথেকে হতাশার ব্যাপার  হচ্ছে অনলাইনের বেশিরভাগ রিসোর্স  ছড়ানো-ছিটানো, কমপ্লিট না, অথবা সোর্সগুলো থেকে  স্টেপ বাই স্টেপ শেখা যায় না  । বিভিন্ন রিসোর্স থেকে আপনি  ঘেটে ঘেটে  শিখতে পারলেও প্রচুর সময় নষ্ট হয় এবং ইফেক্টিভলি না শিখার ব্যাপার তো থাকছেই ।   একটা সময় দেখা যায় যে আপনি  যা শিখছেন সেটার ওপর থেকে ফোকাস চলে যায় এবং ভালো কিছু করা সম্ভব হয় না ।

আমি যখন রিঅ্যাক্ট শেখা শুরু করি তখন রিঅ্যাক্ট এর তেমন পরিপূর্ণ  রিসোর্স  ছিল না ।  এখন রিঅ্যাক্ট শেখার অনেক অনেক রিসোর্স এভেলেবেল হলেও  সত্যিকার অর্থে একদম জিরো থেকে শুরু করে শক্ত ফাউন্ডেশন বিল্ড করে পরিপূর্ণ ফুলস্ট্যাক অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করার মত  নলেজ একটা সোর্স থেকে পাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য !!

বেশিরভাগ রিঅ্যাক্ট রিসোর্সে শুধুমাত্র থিওরি অথবা প্রজেক্ট কে ফোকাস করা হয় ,  আবার কোথাও স্ট্যাটিক টেম্পলেটকে রিঅ্যাক্ট এ কনভার্ট করেই  শেষ করে দেয়া হয় , কিন্তু রিঅ্যাক্ট মানে শুধু টেমপ্লেট কনভার্সন না । রিঅ্যাক্টের রেস্পন্সিবিলিটি এর থেকে অনেক  অনেক বেশি কিছু !!  আপনি রিঅ্যাক্ট  দিয়ে এর থেকে অনেক বেশি কিছু করতে পারবেন ।

আপনি এখনও ইন্টারনেটে রিঅ্যাক্টের বিগিনার টু অ্যাডভান্স কনসেপ্টগুলো সাজানো গোছানো ভাবে শিখার জন্য সিঙ্গেল কোন পরিপূর্ণ  রিসোর্স খুজে পাবেন না।  আপনাকে খুঁজে খুঁজে বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল, আর্টিকেল, বিভিন্ন কোর্স  থেকে শিখতে হবে, যা আপনার প্রচুর সময়  নষ্ট করবে, ইফেক্টিভলি শিখতে না পারার ব্যাপার তো থাকছেই । 

এই সমস্যা গুলোর সমাধান করার জন্যই  এই বুটক্যাম্প।  বাংলা ভাষায় এই প্রথম শুধুমাত্র রিঅ্যাক্টের বিগিনার টু অ্যাডভান্স, সাজানো-গোছানো পরিপূর্ণ ইন্টেন্সিভ বুটক্যাম্প চালু  হচ্ছে । আপনি একবারে শূন্য থেকে শুরু করে স্টেপ বাই স্টেপ বিগিনার টু অ্যাডভান্স সব কনসেপ্ট, থিউরি, প্রজেক্ট, এক্সাসাইজের মধ্য দিয়ে পরিপূর্ণ ফুলস্ট্যাক রিয়্যাক্ট অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপার হয়ে উঠবেন । 

রিঅ্যাক্ট এর লিমিটেশন এবং ফুল-স্ট্যাক অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট !

রিঅ্যাক্ট  ফ্রন্ট-অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট করার জন্য একটা লাইব্রেরি ।  কিন্তু আপনি রিয়াল ওয়ার্ল্ডে যত অ্যাপ্লিকেশন দেখবেন সবগুলোতে  ব্যাক-এন্ড / সার্ভার সাইড রিলেটেড লজিক থাকে। এই জন্য আপনাকে সার্ভার সাইড ল্যাংগুয়েজ জানতে হয়। তাছাড়া রিঅ্যাক্ট ফ্রন্ট এন্ড লাইব্রেরী হওয়ায় বেশিরভাগ কোর্সে  শুধুমাত্র ফ্রন্ট এন্ড অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করে দেখানো হয় । ফুলস্ট্যাক আপ্লিকেশন ডেভেলপ করে দেখানো হয় না। তাই কিভাবে রিয়েল ওয়ার্ল্ড অ্যাপ্লিকেশন ডেভলপ করতে হয়  সেই  ব্যাপারটা বোঝা যায় না ।

রিঅ্যাক্টের এর এই সীমাবদ্ধতা থাকায় এই লিমিটেশনকে এভয়েড করার জন্য এবং  ফুলস্ট্যাক অ্যাপ্লিকেশন ডেভলপ করার জন্য ব্যাক-এন্ড সার্ভিস হিসেবে ফায়ারবেস কে  বেছে নিয়েছি ।

একটা রিয়েল ওয়ার্ল্ড ফুলস্ট্যাক অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের জন্য  যা যা দরকার যেমন ডাটাবেজ, অথেন্টিকেশন (রেজিস্ট্রেশন, লগইন-লগআউট সিস্টেম, ফরগট পাসওয়ার্ড,পাসওয়ার্ড রিসেট) অথোরাইজেশন, ইমেজ আপলোড, ইমেইল পাঠানো , পেজিনেশন, সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট  সবকিছুই আপনি ফায়ারবেজ ব্যবহার করে শিখে ফেলবেন ।

তাহলে আপনি একাই ফুলস্ট্যাক অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করতে পারবেন।  আপনাকে জবের জন্য বসে থাকতে হবে না এবং ফ্রন্ট-এন্ডে ও লিমিটেড থাকতে হবে না। আপনি প্রয়োজনে এই-নলেজ দিয়ে খুব সহজেই জব,  ফ্রিল্যান্সিং প্রজেক্টগুলো নিতে পারবেন এবং কাজ করতে পারবেন ।

তাছাড়া রিঅ্যাক্ট ডিপেন্ডেন্ট ইকোসিস্টেমের অনেক পপুলার টুলস যেমন নেক্সট জেএস(Next js), রিডাক্স (Redux), রিডাক্স টুলকিট, রিঅ্যাক্ট এপোলো (reacr-apollo) এইগুলো নিয়ে কাজ করা শিখব ।

এই বুটক্যাম্প আমাদের মেইন ফোকাস হবে রিঅ্যাক্ট  এর একটা শক্ত ফাউন্ডেশন গড়ে তোলা ।  আমরা  রিয়্যাক্ট দিয়ে সব রিয়াল ওয়ার্ল্ড ফিচার সহ ফুল স্ট্যাক অ্যাপ্লিকেশন ডেভলপমেন্ট শিখার পাশাপাশি একটা স্ট্রং ফাউন্ডেশন বিল্ড করব,  যাতে করে পরবর্তীতে আপনি আপনার প্রয়োজনে  অন্য রিসোর্স, ডকুমেন্টেশন ঘেটে প্রয়োজন মত  নতুন জিনিস শিখে নিতে পারেন  এবং কনফিডেন্টলি  ফিউচারে কাজ করতে পারেন । কোর্সের পর করে যেন যেতে হবে না । 

রেন্ডম, রেকর্ডেড ভিডিও রিসোর্স এবং লিমিটেশন !

অনলাইনে যেসব রিসোর্স এভেলেবেল বেশিরভাগ রিসোর্স রেকর্ডেড  এবং বাংলা ভাষায় হাতে গোনা দুই-একটা কোর্স লাইভ  থাকতে পারে।  তবে আমাদের বেশিরভাগ সময়ে এটা হয়  আমরা রেকর্ডেড কোর্স কিনে রেখে দেই কিন্তু শেষ করা হয় না অথবা প্র্যাকটিস করা হয় না ।  যখন  সময় মত প্রয়োজন হয় তখন প্রশ্ন করে কনফিউশন ক্লিয়ার করে নিতে পারি না  ।  ফলে আমাদের সেই টপিকটাই শিখা হয় না এবং ভালো কিছু করা ও সম্ভব হয় না ।

সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে এই প্রোগ্রামটা গাইডেড এবং ইন্টারেক্টিভ । আপনি লাইভ ক্লাসে পাশাপাশি রেকর্ডেড রিসোর্স থেকে স্টেপ বাই স্টেপ  রিঅ্যাক্ট অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট শিখবেন,  সাথে সাথে প্রয়োজনে প্রশ্ন করে আপনার কনফিউশন ক্লিয়ার করে নিতে পারবেন ।  সবার সাথে একটা জার্নিতে অংশগ্রহণ  করবেন এবং বুটক্যাম্পটা  শেষ করার জন্য একটা আলাদা  ইন্সপাইরেশন কাজ করবে । 

রিয়েল ওয়ার্ল্ডে রিঅ্যাক্ট ডেভেলপমেন্ট ইজ নট ইজি !

লেটস ফেইস ইট ।  অনেকেই বিভিন্ন রেন্ডম আনলাইন রিসোর্স ফলো করে, ভিডিও দেখে বিভিন্ন জিনিসপত্র শিখেন। দেখার সময় সবকিছুই বুঝতে পারেন  । মনে করেন অনেক কিছু শিখেছেন অথবা কোর্সের সাথে সাথে কিছু ডেমো প্রজেক্ট করে ভাবেন  রিয়েল ওয়ার্ল্ডে খুব ভালো কিছু করতে পারবেন । কিন্তু বাস্তবে যখন রিয়েল ওয়ার্ল্ডে অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলেপমেন্ট করতে যান তখন কাস্টম প্রজেক্ট বানাতে পারেন না,  সত্যিকার অর্থে যা শিখছেন আগামাথা খুজে পান না । সত্যিকার অর্থে  শিখাটা ইফেক্টিভ হয়না  ।

সত্যিকার অর্থে যখন আমরা কোনো চ্যালেঞ্জ ফেইস করি  তখনই আমরা শিখি, অ্যাক্টিভ লার্নিং হয় । এই বুটক্যাম্পে প্রথমে আমরা কোন একটা টপিকস এর ওপরে একটা প্রজেক্ট করব,  পরবর্তীতে সেই টপিকস এর ওপরে আপনি একই রকম আরেকটা চ্যালেঞ্জ প্রজেক্ট করবেন ।  তাহলে সেই টপিকটা নিয়ে আপনার ক্লিয়ার  ধারনা হয়ে যাবে এবং রিয়েল ওয়ার্ল্ডে এ কাজে লাগাতে পারবেন  । আপনি যদি  সাকসেসফুলি  এই বুটক্যাম্পটা কমপ্লিট করে থাকেন তাহলে রিয়েল  ওয়ার্ল্ড অ্যাপ্লিকেশন ডেভলপমেন্টে আপনার কোন সমস্যা থাকবে না  এটা নির্দ্বিধায় বলা যায়।

আপনারা এই প্রোগ্রাম কে রিঅ্যাক্টের একটা কমপ্লিট গাইডলাইন প্রোগ্রাম এর সাথে তুলনা করতে পারেন, এই প্রোগ্রামে আপনি অল্প সময়ে সর্বোচ্চ বিষয় ইফেক্টিভলি এবং প্র্যাক্টিক্যালি প্রজেক্ট করে শিখতে পারবেন ।

১০+ প্রাক্টিক্যাল প্রজেক্ট ডেভলপ করবেন । প্রজেক্ট চ্যালেঞ্জ, কোডিং চ্যালেঞ্জ সলভ করবেন । প্রতিটি স্টেপে আপনাকে কন্টিনিউয়াসলি  মনিটর করা হবে, মেন্টরিং করা হবে । মোটকথা এই প্রোগ্রাম শেষে এটা গ্যারান্টেড যে এই প্রোগ্রামের ইন্সট্রাকশন ফলো করলে একজন কনফিডেন্ট  ফুলস্ট্যাক  রিঅ্যাক্ট অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপার হয়ে উঠবেন ।

এটা কোন রেগুলার কোর্স না যেখানে আপনাকে শুধুমাত্র ভিডিও দিয়ে দেওয়া হবে অথবা অথবা গতানুগতিক লাইভ কোর্স না যেখানে শুধুমাত্র লাইভ কিংবা রেকর্ডেড কিছু ক্লাস নিয়ে দায়িত্ব শেষ করে দেওয়া হবে, এটা একটা কমপ্লিট প্রোগ্রাম । এই প্রোগ্রাম আপনি সব ব্যাপারগুলো একসাথে পাবেন । সাথে সাথে  কোডিং চ্যালঞ্জ , প্রজেক্ট চ্যালেঞ্জ, আর্টিকেল রিডিং সমান গুরুত্ব পাবে ।

শুধুমাত্র কোর্সের ব্যাপার গুলোই  না ,এর বাহিরে কিভাবে নতুন জিনিস শিখতে হবে,ডকুমেন্টেশন পড়তে হয় অভ্যস্ত হয়ে যাবেন ।